
প্রকাশিত: Sat, Jun 15, 2024 12:41 PM আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 11:40 PM
[১]স্বস্তির বদলে দিনে দিনে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র
মোস্তাকিম স্বাধীন: [২] এক সময় বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে দেশে জরুরিভাবে চালু করা হয় কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সময়ের চাহিদার সাথে সাথে যা এখন সরকারের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে। অনেকটা বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে এসব কেন্দ্রকে । বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে কুইক রেন্টালের ক্যাপাসিটি চার্জ ছিলো ৩২ হাজার কোটি টাকা। (জনকণ্ঠ ১৪--০৬-২০২৪)
[৩] ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, চলতি অর্থবছরে মোট ১ লাখ ৬ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা ভুর্তকির মধ্যে বিদ্যুৎ খাত পেয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
[৪] দেশের শীর্ষ ১২টি কোম্পানিকে আট হাজার কোটি টাকার বেশী ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয়েছে। এতো বিশাল ক্যপাসিটি চার্জ পরিশোধের পরও সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে উৎপাদনে আসার জন্য মোট ৪৯ হাজার ৩৯২ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আরো ৪৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমোদন দিয়েছে। এর অধিকাংশই গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র । (বণিক বার্তা ২১-০৬-২০২৪)
[৫] ২০০৯ সালে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিলো ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। বর্তমানে ২৫হাজার ৫৬৪ মেগাওয়াট। চলতি বছর ২২ এপ্রিল সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট । অর্থাৎ উৎপাদন ক্ষমতার অর্ধেকও বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। অলস বসিয়ে রাখতে হচ্ছে সচল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে।
[৬] এর খেসারত হিসাবে বেসরকারি কেন্দ্রের বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেই ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ প্রতিবছর ৫-৭ হাজার কোটি টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে সরকারকে। গত ১৫ বছরে এই গচ্চার পরিমান ৮০-৯০ হাজার কোটি টাকা । নতুন করে পরিচালন ব্যায়ের নামে ব্যয় হচ্ছে হাজার কোটি টাকা ।
[৭] দেশে মোট ১৬টি কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রয়েছে । চলতি বছরের মধ্যেই কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানা গেছে। বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সরকারের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বৃহৎ বিদ্যুকেন্দ্রগুলো মেয়াদ পূতির্তে অবসরে যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
[৮] মন্ত্রণালয়ের দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়িত না হওয়ায় ভাড়াভিত্তিক কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানো হয়। ইতোমধ্যে ছয়টি রেন্টাল ও ছয়টি কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। (বিডিনিউজ ১১-০৬-২০২৪)। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আরও সংবাদ
[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত
[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত
[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র
[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
[১]রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসসহ নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: ইকবাল সোবহান চৌধুরী

[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত

[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত

[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র

[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
